কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগ সভাপতি কে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কয়েক ঘন্টা আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে পুলিশে সোপর্দ করলো ইউপি চেয়ারম্যান।
৩০ মে (রবিবার) দুপুরে ওই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম ঘটনার দিন জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষদে যায়।
এসময় পরিষদে আগত লোকজনের কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের নামে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছিল দেখে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ প্রতিবাদ করেন।
এ অবস্থায়, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এরফান উদ্দিনসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদের উপর চড়াও হয়। পরে ফরহাদকে পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সম্মিলিতভাবে লাটিসোটা নিয়ে ব্যাপক মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
এভাবে উপর্যপুরি মারধর করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ফরহাদকে পরিষদে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে ফরহাদের বড় ভাই বি. এম. চর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মোশারক হোসেন রুবেল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাকেও শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
পরে বিকালে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পুলিশ ডেকে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদকে সন্ত্রাসী বানিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ বিএমচর ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধনের নামে অবৈধভাবে টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন। বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে তাকে আটকে রেখে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের পরে সন্ত্রাসী বানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। কত বড় স্পর্ধা হলে একজন ছাত্রলীগ কর্মীর উপর এরকম অমানবিক কাজ করতে পারে!
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারাণ সম্পাদক এইচ এম শওকত এ ঘটনার ক্ষোভ, নিন্দা ও জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি খবর নিয়ে জানতে পারলাম, ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ফরহাদুল ইসলামের পরিবার থেকে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
উক্ত এজাহারকে নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত চেয়ারম্যান এবং তার সন্ত্রাস বাহিনীদের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যতায় ছাত্রলীগ রাজপথে নেমে উক্ত নিন্দনীয় ঘটনার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেলা ছাত্রলীগের এ নেতা।