ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ উদ্ধারকৃত পাখি’টিকে টুটক পাখি বলা হলেও ইংরেজি নাম- Black Tail Godwid বা কালো লেজ জৌরালি। বৈজ্ঞানিক নাম- Limosa limosal।
উল্লেখ্য যে, ২৬শে সেপ্টেম্বর আনুমানিক বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের অর্থনৈতিক অঞ্চল পন্ডিতের ডেইল সুইস গেইটের পাশে স্হানীয় ১৮ বছরের নোমান নামের এক যুবক পাখিটির শরীরে ইলকট্রনিক ডিভাইস জাতীয় কিছু দেখলে পাখিটি ধরে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর হস্তান্তর করে।
পরবর্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান পাখিটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করলে, মূহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
পরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রনব চৌধুরী কে বিষয় টি অবগত করলে তারা বন বিভাগের কর্মকর্তাকে জানান।
এদিকে পাখিটির শরীরে ডিভাইস থাকায় গোয়েন্দা সংস্থা সহ গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক সহ দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন ও ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদটি প্রচার হলে, পাখিটির আসল মালিক কে খুঁজে পাওয়া যায়।
জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলীপ কুমার দাশ পাখিটির মালিকানা দাবি করেন।
সবিশেষে- রাত ১১ টার দিকে পাখিটি ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করেন।
বন বিভাগের পক্ষে পাখিটি গ্রহন করেন, মাতারবাড়ি বন-বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া। পাখিটি গ্রহনের সময় এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিলীপ কুমার দাশের। তিনি একজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ, তিনি তার পিএইচডি থিসিসে গবেষণার কাজে এটির শরীরে বন বিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে ডিভাইস স্হাপন করে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, দিলীপ কুমার দাশ- বর্তমানে পাখির পরিযায়ন নিয়ে নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। যে পাখিটিকে ধরা হয়েছে সেটি কালো লেজ জৌরালি প্রজাতির পাখি। পাখিটিকে ২০২১ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নিঝুম দ্বীপ থেকে ট্যাগ করা হয়েছিল।
এর নাম দেয়া হয়েছে ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোঃ মোস্তফা ফিরোজের নামে। এটি হিমালয় অতিক্রম করে চীন দেশ থেকে পরিযায়ন করে আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছে শীতকালীন সময় কাটানোর জন্য।