নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ায় টমটমের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্র গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহত শিশুটি কালারমারছড়া আল আমিন মডেল একাডেমীর নার্সারীর ছাত্র মোঃ রাফসান (৮) বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সে মিজ্জিরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ নছিম ও কহিনুর আক্তার দম্পতির ছেলে।
অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় কালারমারছড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, আজ ২৩ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) আনুমানিক বেলা ১১ঃ৩০ ঘটিকার সময় স্কুল ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা পারাপারের সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এতে শিশুটির মাথায় এবং ঠোঁটের নিচে মারাত্মকভাবে জখম হয়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কালারমারছড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের (আল আমিন মডেল একাডেমি) প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ ইউনুচ বলেন- লাইসেন্স বিহীন টমটম ও অদক্ষ গাড়িচালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে প্রতিনিয়ত এ দূর্ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি প্রতিষ্টান সংলগ্ন রাস্তার উপর স্পীড ব্রেকার না থাকায় বারবার কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বা পথচারীরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। তিনি জনতা বাজার টু গোরকঘাটা প্রধান সড়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে তৎসংলগ্ন স্পীডব্রেকার দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
স্থানীয় সাবেক এমইউপি নুরুল ইসলাম জানান, স্পীড ব্রেকার না থাকায় পূর্বের তুলনায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারের প্রবেশমুখ এবং প্রতি মোড়ে মোড়ে স্পীড ব্রেকার থাকলে অনেকটা এড়ানো যাবে জীবন হন্তারকের মতো বিরাট দূর্ঘটনা।
এদিকে স্থানীয়দের দাবি- কম বয়সী, অদক্ষ, লাইসেন্সবিহীন ও টমটম মালিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত টমটম কেঁড়ে নিচ্ছে অনেকের তাজা প্রাণ। হন্তারক টমটমের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে আগামীতে আরো বড়সর দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় জনসাধারণের। এ বিষয়ে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান তারা।