HomeNewsBangladeshএডমিন ক্যাডার থেকে বাদ পড়া প্রার্থীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল

এডমিন ক্যাডার থেকে বাদ পড়া প্রার্থীর আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল

হ্যাশট্যাগে #end_of_my_BCS_Journey_Here দিয়ে প্লাবন সাহা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন,
৪৩ এর রিগেজেটে দেখলাম আমার নাম নাই , আমি দেশের বাইরে থাকায় এই জিনিসগুলা নিয়ে খুব বেশি কানেক্টেড ছিলাম না। টুকটাক খবর পাইতাম, রিগেজেট ব্যাপার টা যা বুঝলাম, কারো কোন পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন বা কোন প্রিভিয়াস রেকর্ড থাকলে সেটা চেক করে মে বি। আমি বা আমার ইমিডিয়েট ফ্যামিলির সাথে কখনই কোন প্রকার পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন ছিল না , আমার নামে কোন সুপারিশ ও করা নেই, তাই আমার নাম গেজেট এ না থাকার ব্যাপার টা একটু খটকা লাগলো।আমি মোটামুটি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আমাকে নন গেজেটেড করার কোন কারণ আমি দেখি না। একটু খোজ নিয়ে দেখলাম সব ক্যাডার মিলায়ে  বাদ পড়েছে প্রায় ২৬৭ জন। সংখ্যাটা অনেক বড় , এর মধ্যে অনেক কে আমি চিনি যাদের সাথে কোন পলিটিক্যাল এফিলিয়েশন নাই। আর একটু খোজ নিয়ে জানলাম , ৪৩ বিসিএস এডমিন থেকে যতজন বাদ পড়ছে তার প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি সনাতনী (হয়ত বা এটা কোইনসিডেন্স)। আমি নিজে কখনই বিশ্বাস করি না যে , ধর্ম ও এইসব ব্যাপারে কাউকে ভেরিফাই করার একটা ক্রাইটেরিয়া হতে পারে, আমি বিশ্বাস করতেও চাই না এটা হইছে , অন্য কারণ অবশ্যই আছে , জাস্ট কারণ টা জানিনা , কিন্তু যদি ধর্ম আসলেও কারণ  হয় তাহলে একটা কথাই  বলি –
“স্বার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে”
আমার ফ্যামিলি বরাবরই আমাকে বলে আসছে যাতে আমি আমেরিকা তেই আমার পিএইচডি টা শুরু করি। কিন্তু আমি কেন জানি চাইতাম এত দূর যখন আসছি চাকরিটা করি, আমার একদম ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল একদম ফিল্ড লেভেল এ থেকে মানুষের জন্য কিছু করার। স্কুল লাইফ থেকে এই জবটা একটা শখ হয়ে উঠছিল। আমেরিকা তে আমার একটা জব অফার ও আছে , আমার পিএইচডি এপ্লাই এর সুযোগ ও আছে ,কিন্তু তাও মোটামুটি ঠিক করছিলাম জয়েনিং দিলেই দেশে যাব, একদম প্রান্তিক কোন একটা উপজেলায় হয়ত পোস্টিং হবে। সেখানকার মানুষগুলোর  সাথে একটা নতুন পরিবেশ , নতুন অভিজ্ঞতা , ভালোই হবে।  আর যতটুক কাজ করার সুযোগ পাই ওনাদের জন্য, সেটা তো করবই।  কিন্তু এই রিগেজেট টা দেখে আমি আসলেই হতবাক। এখন মনে হচ্ছে ফ্যামিলির লোকজন অনেক ভেবেচিন্তেই বলছিল যাতে বিদেশেই থেকে যাই। তারপরও মানুষের শখ বা স্বপ্ন বলে তো একটা জিনিস থাকে , কি জানি , বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করলে থাকে না মনে হয়।
এছাড়া দেবাশীষ ঘোষ নামের একজন লেখেন, যারা বিসিএস- সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন তারা আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিন। আমাকে ৪৩তম বিসিএস থেকে বাদ দেওয়া হইছে। বিদায় বিসিএস।
বাকিদের স্ট্যাটাসের ছবি সংযুক্ত করা হলো –
বিসিএস পরিক্ষার্থীর আবেগঘন স্ট্যাটাস
বিসিএস পরিক্ষার্থীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

Related News

Popular News

error: Content is protected !!