Home News যেদিন সবক্ষেত্রে নারী হবে নিরাপদ,সেদিনই নারী দিবস উদযাপন হবে সার্থক

যেদিন সবক্ষেত্রে নারী হবে নিরাপদ,সেদিনই নারী দিবস উদযাপন হবে সার্থক

0

জজাউল এহেসানঃ বর্তমান এই যুগকে বলা হয় গণতান্ত্রিক যুগ, সমতার যুগ। নারীরা অভাবনীয় প্রাণশক্তি, অসাধারণ ভালোবাসার মধ্য দিয়ে এবং অসংগতি ও অন্ধকারের সঙ্গে যুদ্ধ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষুদ্রতর থেকে বড় পরিসরে এখন আলোকিত হয়েছে নারীর বিচরণ।

নারী উন্নয়ন ও মুক্তির পথে চলতে নিজেকে সক্ষম করে তুলেছেন। নারীরা এখন কাজের জন্য ঘরের বাইরে যাচ্ছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, গবেষণা, শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই নারীর পদচারণা যেমন লক্ষণীয়। তেমন বাহুশক্তিতে নারীরা দুর্বল বিধায় বিভিন্নভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা পথঘাটসহ সকল জায়গায় নানা নির্যাতন-বৈষম্য, ইভ-টিজিং এবং যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নারী দিবস উদযাপন করে কি লাভ? যদি নারীরা এসব হয়রানি থেকে পরিত্রাণ না পায়। কি লাভ নারী দিবস পালনের নামে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে পোস্ট করে? আমাদের এত সচেতন মহল থাকার পরেও যদি বর্তমানের এই সমতার স্বর্ণযুগে আমরা নারীর প্রতি এই বৈষম্যের প্রতিবাদ করতে না পারি।

এই নারীবাদ তো শুধু এলিটদের চর্চার বিষয় নয়, এটি ধর্ম-কর্ম, গোষ্ঠী নির্বিশেষে তৃণমূল পর্যন্ত সবার চর্চার বিষয়। যে দিনটিকে নারী দিবস করে একদিনের জন্য নারীদের সম্মান দেওয়া হয়, সেই নারী দিবস আমরা চাই না, আমরা চাই নারীর জন্য একটা সুষ্ঠু নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর তার জন্য চাই সকল সচেতন মহলের একাগ্রতা।

এই ৮ই মার্চের আন্তর্জাতিক নারী দিবস, নারীর অধিকার আদায় আন্দোলনের এক স্মারক দিবস। নারীর প্রতি অবিচার ও বৈষম্যের প্রতিবাদে এক বলিষ্ট পদক্ষেপ ছিল এই দিনটির আন্দোলন। পৃথিবীর সব নারী যেদিন ঘরে-বাইরে নিরাপদ থাকবে, আমার মনে হয়, নারী দিবস উদযাপন সেদিনই সার্থক হবে। এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলার সংবিধানে যে নারীর সম-অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সেটি মেনেই, চলুন আমরা নারী-পুরুষের যৌথ প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ। আজকের এই দিনসহ সকল দিনেই নারীদের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা,সম্মান ও ভালোবাসা। সকল নারীদেরকে জানায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা।

error: Content is protected !!
Exit mobile version