প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিলসহ আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।
সেই সাথে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১৯ নভেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে এক বিতর্কিত ফুটেজ প্রকাশের জের ধরে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দলীয় অন্দরমহলে ওঠে সমালোচনার ঝড়। অভিযোগ ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির।
গাজীপুরের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেলসহ বর্ষীয়ান নেতা আজমত উল্লাহ ভুঁইয়াকে নিয়েও কিছু স্পর্শকাতর মন্তব্য করেন তিনি। এসবের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তার বিরুদ্ধে দলের ব্যবস্থা নেয়ার গুঞ্জন।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির বাইরে কাপড়-ব্যবসার সাথে যুক্ত জাহাঙ্গীর ‘অনারেবল টেক্সটাইল অ্যান্ড কম্পোজিট লিমিটেড’ এবং ‘জেড আলম অ্যাপারালস’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৯৭৯ সালে ৭ মে গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি চান্দনা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাজীপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি ছিলেন।
তিনি গাজীপুর সদর ও টঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।
তার বহিষ্কারের খবরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করায় গাজীপুরে নেতাকর্মীরা খুশি হয়েছে। এতে আজকে তারা আনন্দ মিছিল করবে এটাই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, মেয়র জাহাঙ্গীরকে বহিষ্কারের ঘোষণায় এরই মধ্যে নগরীর বেশ কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মীদের আনন্দ মিছিল করতে দেখা গেছে।