অনলাইন ডেস্কঃ
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম নারী ও প্রথম মুসলিম হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের (আইপিআই) International Press Institute (IPI) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খাদিজা প্যাটেল।
তিনি একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং মুসলিম এশিয়ান ব্যাকগ্রাউন্ডের চতুর্থ প্রজন্মের প্রতিনিধি। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মেইল অ্যান্ড গার্ডিয়ানের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যুবশ্রেণির সাংবাদিকদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সক্রিয়ভাবে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন আরব নিউজ বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় শীর্ষ স্থানীয় মিডিয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম খাদিজা প্যাটেল। বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মিডিয়া বিষয়ক ওয়াচডগ হিসেবে পরিচিত আইপিআইয়ের ৩৫তম চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
১৯৫০ সালে নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাত্রা শুরু করে আইপিআই। এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৩৪ জন পুরুষ সম্পাদক, প্রকাশক ও একজন নারী সম্পাদক।
ভিয়েনাভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানে খাদিজা ছাড়াও আছেন আরো দু’জন নারী। তারা হলেন ইতালির বারবার ত্রিওনফি। তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে নির্বাহী বোর্ড মেম্বার হিসেবে আছেন জর্ডানের ইতাফ রাউদান।
নির্বাচিত হওয়ার পর ভিয়েনা সিটি হলে খাদিজা প্যাটেল দক্ষিণ এশিয়ায় তার বেড়ে উঠার কথা শোনান। ওই দেশটিতে মুসলিম নারীদের মিডিয়ায় কাজ করতে অনুৎসাহিত করা হয়। বিশ্বে তার অনুসারি সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ১২ বছর বয়সের সময় আমার ইংলিশ শিক্ষকের কাছে বলেছিলাম- আমি সাংবাদিক হবো। আমার কথা শুনে স্যার অনেকক্ষণ ভাবলেন। তারপর বললেন, মুসলিম নারীদের জন্য সাংবাদিকতা কোনো উপযুক্ত পেশা নয়।
খাদিজা বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে উত্তম কাজ হলো একজন সাংবাদিক হওয়া। এতে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায় না। তবে এর ভিতর আনন্দ পাওয়া যায়। নিষ্পেষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি এসব বের করে আনেন একজন সাংবাদিক। তার ভাষায়, আমরা আসলে এক রকম জটিল প্রাণী। আমাদের অভিজ্ঞতা জটিল। কারণ, আমাদের কাছে শুধু একজন হাঙ্গেরিয়ান, একজন দক্ষিণ আফ্রিকান বা একজন বেলারুশিয়ানের মতো অভিজ্ঞতা নয়।
এই পেশায় জটিলতা থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকরা একে অন্যের আনন্দ ভাগ করে নিতে জানেন। আমার কাছে সাংবাদিকতা হলো তথ্য জানানোর একটি সেতু। একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকার একটি ব্রিজ এটা। যখন চারদিকে ঘৃণা ছড়িয়ে থাকে তখন সাংবাদিকতা আমাদেরকে একে অন্যের পাশে চমৎকারভাবে থাকতে শেখায়। আনন্দ পেতে শেখায়।
খাদিজা প্যাটেল আরব নিউজকে বলেন, এই অবস্থানে আমি নির্বাচিত হওয়ার জন্য যে সমর্থন পেয়েছি তার জন্য অভিভূত। আশা করি সারাবিশ্বে সাংবাদিকদের জন্য আইপিআইকে নিয়ে সেই সমর্থনের মূল্য দিতে পারবো। আশা করি বিশ্বজুড়ে নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকরাও এতে উৎসাহিত হবেন